কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বাংলাদেশের জাতীয় গৌরব ও আত্মত্যাগের প্রতীক। এটি ঢাকার কেন্দ্রস্থলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছে অবস্থিত, এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত।

ইতিহাস

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে ছাত্ররা আন্দোলনে নামে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর গুলিতে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ অনেকেই শহীদ হন। তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২। যদিও সেটি দ্রুত ভেঙে ফেলা হয়, পরবর্তীতে ১৯৬৩ সালে বর্তমান শহীদ মিনারটি স্থায়ীভাবে নির্মিত হয় স্থপতি হামিদুর রহমান এবং শিল্পী নভেরা আহমেদের যৌথ নকশায়।

স্থাপত্যশৈলী

মিনারটির কেন্দ্রীয় অংশে পাঁচটি খুঁটি রয়েছে, যা পাঁচজন শহীদের প্রতীক। মাঝের স্তম্ভটি সবচেয়ে উঁচু, যা মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এর পেছনে রয়েছে একটি অর্ধবৃত্তাকার দেয়াল, যা মায়ের কোলে সন্তানের অবস্থানকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

গুরুত্ব ও স্বীকৃতি

২১ ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত, যা ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে ঘোষণা করে। এই দিনে লাখো মানুষ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়।

উপসংহার

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার শুধু একটি স্থাপত্য নয়, এটি বাঙালির আত্মপরিচয়, ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতীক। প্রতি প্রজন্মকে এটি স্মরণ করিয়ে দেয় ভাষার জন্য জীবন দেওয়ার অনন্য ইতিহাস।